প্রকাশিত: Thu, Jan 19, 2023 3:38 PM
আপডেট: Sat, May 10, 2025 4:55 PM

কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন

আশিক নূরী : [১] সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন, একজন ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা। অভিনেতা হিসেবে তিনি কিংবদন্তি, তবে আবৃত্তি শিল্পী হিসেবেও তাঁর নাম অত্যন্ত সম্ভ্রমের সঙ্গেই উচ্চারিত হয়। তিনি কবি এবং অনুবাদকও। বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ৩৪টি সিনেমার ভিতর ১৪টিতে অভিনয় করেছেন তিনি। [২] সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ১৯ জানুয়ারি ১৯৩৫ সালে মির্জাপুর স্ট্রীট, কলকাতা বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারতে (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতৃদেব কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি করতেন। সৌমিত্র পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন কৃষ্ণনগরের সেন্ট জন্স বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে তিনি কলকাতার সিটি কলেজ থেকে প্রথমে আইএসসি এবং পরে বিএ অনার্স (বাংলা) পাস করার পর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ অফ আর্টসে দু-বছর পড়াশোনা করেছেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমহার্স্ট স্ট্রীট সিটি কলেজে, সাহিত্য নিয়েও পড়াশোনা করেছেন। 

[৩] সৌমিত্র সুদীর্ঘ ষাট বছরের চলচ্চিত্রজীবনে তিনশোরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। থিয়েটারের প্রতিও তাঁর ছিল আজন্ম ভালোবাসা। সোনার কেল্লার দৃশ্যায়নের সময় কেল্লার এক স্থানে দ্রুত দৃশ্যায়ন করা হয়, যেন পরবর্তীতে সৌমিত্র দ্রুত কলকাতায় ফিরে থিয়েটারে অভিনয় করতে পারেন। [৪] সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য বই এর মধ্যে রয়েছে- ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৯৩)’, ‘মানিক দার সঙ্গে (২০১৪)’, ‘পরিচয় (২০১৩)’, ‘অগ্রপথিকেরা (২০১০)’, ‘প্রতিদিন তব গাঁথা (২০০৯)’, ‘চরিত্রের সন্ধানে (২০০৪)’, ‘শব্দরা আমার বাগানে’, ‘কবিতা সমগ্র (২০১৪)’ ও ‘শেষ বেলায় (২০২২)’ ইত্যাদি। [৫] সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান ১৯৯১ সালে। ৯ বছর পরে ‘দেখা’ চলচ্চিত্রের জন্য একই বিভাগে পুরস্কার পান। অভিনয় জীবনের সুদীর্ঘ পাঁচ দশক পর ২০০৬ সালে ‘পদক্ষেপ’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে সম্মানিত হন তিনি। ২০১২ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন তিনি। এছাড়াও রয়েছে- ‘সাম্মানিক ডি.লিট’, ‘পদ্ম ভূষণ’, ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ ও ‘লিজিওন অফ অনার’। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ১৫ নভেম্বর ২০২০ সালে ভারতীয় সময় দুপুর ১২:১৫ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে মারা যান।